Social Icons

Featured Posts

Friday, March 20, 2020

করোনা নিয়ে ভাবনার কিছুই নেই ।। Coronavirus is not major think that we do



করোনা ভাইরাস এ যেন এক আতঙ্কের নাম ।  সবাই যেন এটা নিয়েই বেস্ত কিন্তু আসল যে কাজগুলো করা প্রয়োজন সেটাই কেউ করছেনা । এটা নিয়ে এতো ফালাফালির কিছুই নেই, এটি সাধারন ভাইরাসের মতই একটি ভাইরাস শুধু এটা একটু শক্তি শালি কারণ এটা মানুষ থেকে মানুষে খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে।  আচ্ছা ধরে নেয়া যাক একজন রুগীর পাতলা পায়খানা হচ্ছে এখন তাকে আরও বেশি করে পচা খাবার খওয়ানো হল, তাহলে কি হবে বলেনতো , সে রুগীর পায়খানা আরও বেড়ে যাবে এবং একটা সময় সে মারা যাবে।  ঠিক তেমনই করোনা ভাইরাসে যারা মারা গিয়েছে তারা আগের থেকেই অসুস্থ ছিল ও বয়স্ক ছিল। 
 
করণীয়
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বেক্তি বা সুস্থ বেক্তি সবাই যদি পরিষ্কার পরিছন্ন ও পাক পবিত্র থাকি তাহলে এ ভাইরাস আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।  বেক্তিগত মতামত দিয়ে বলছি এক দিক দিয়ে করোনা ভাইরাস এর আবির্ভাব হয়ে ভালই হয়েছে কারণ আমাদের মন, মস্তিস্ক ও শরিলে অনেক ময়লা জমে গেছে যা আমরা দূর করতে চাইনা কিন্তু প্রকৃতি এখন সেটা ঠিকি করিয়ে নিবে ।
ফুসফুসে পৌঁছানোর আগে করোনা ভাইরাস চার দিন গলায় থাকে এবং এই সময়ে বেক্তি কাশি শুরু করে এবং গলা বেথা শুরু হয় ,যদি আপনি আক্রান্ত বেক্তি হন তাহলে ডাক্তারের মত অনুযায়ী আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা ঘরে বসে নিম্নে কাজগুলো অনুশরন করুন।



১।  প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
২।  হালকা গরম জলের সাথে লবন বা ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন ।
৩।  প্রচুর ভিটামিন সি খান।
৪।  পরিষ্কার পরিছন্ন থাক।
৫।  পেরাসিটামল খেতে পারেন। 

৬।  লেবুর সরবত , ডাব ও জুস প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
 
পরামর্শ
অযথাই হাসপাতাল বা ডাক্তারের চেম্বার গুলোতে ভির করবেন না । কারণ এমনও হতে পারে যে আপনি আক্রান্ত না কিন্তু আপনার পাশের বেক্তিটি আক্রান্ত ।  ব্যাস হয়ে গেল, গেলেন সুস্থ  আসলেন অসুস্থ হয়ে এবং বাড়ি ফিরে আপনার ঘরের মানুষদেরও অক্রান্ত করলেন।  তাই আগে নিজে নিশ্চিত হন ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলুন প্রয়োজনে আপনার এলাকার ডাক্তারের নাম্বার রেখে দিতে পারেন তাঁর সাথে কথা বলুন সে যদি বলে যে আপনি সন্দেহ জনক অবস্থায় আছেন বা আপনি আক্রান্ত রুগী তাহলে আর দেরি না করে নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে যান পরিপূর্ণ তৈরি হয়ে , মনে রাখবেন আপনার কারনে যেন অন্য কেউ আক্রান্ত না হয়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘর থেকে বের হবেন।



ধর্মীও দৃষ্টিকোণ

ধর্মীও দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে হলে অনেক কিছুই বলতে হবে ।  আমরা যারা ইসলাম ধর্ম পালন করি , আমরা কিন্তু সবাই ঠিকি বুঝতে পেরেছি যে এটা আল্লাহ প্রদত্ত গজব বা কেয়ামতের লক্ষন ।  আমরা দুনিয়া নিয়ে সবাই মত্ত আখিরাতের কথা ভুলেই গেছি , তাই হয়ত আল্লাহ আমদের গুনাহের কারনেই আমদের শাস্তি দিচ্ছেন যা আমরা নিজেরাই কামাই করেছি।  বর্তমানে আমরা নামাজ ছেরে দিয়েছি , অশালীন উলঙ্গ জিনিষের প্রতি আকর্ষণ দিন দিন বেরেই চলেছে , যেনা করাতো এখন ডাল ভাত হয়ে গেছে , নেশাগ্রস্থও হয়ে যাচ্ছি আমরা, নারিরা হিজাব ও নাকাব ছুরে ফেলে দিয়ে এখন নিজেদের অঙ্গ প্রদসশন করতে বেস্ত , ইন্টারনেট আমদের দ্রুত নিয়ে যাচ্ছে জাহান্নামের দিকে ।  যদি প্রমান চান তাহলে হয়ত আপনি আজকে নামাজ পড়েননি কিন্তু ইন্টারনেট ঠিকি চালাচ্ছেন  একটু গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখুনতো এখন যেঁগুলো বলব সেগুলো ঠিক কি না ! 

 
১/ করোনা ভাইরাস তাই মাস্ক পরেছেন কিন্তু আল্লাহ যখন নাকাব পরতে বলেছে তখন কেন পরেন নি ?
২/ করোনা ভাইরাস তাই বার বার করে হাত মুখ ধুচ্ছেন কিন্তু আল্লাহ যখন প্রতিদিন পাচ বার করে ডেকেছেন তখন কেন আপনি অজু করে নামাজ পরেননি?
৩/ করোনা ভাইরাস তাই খাবারে সাবধান কিন্তু আল্লাহ যখন আপনাকে হালাল রিজিক দিয়েছেন তখন সেটা কেন খান নি?
৪/ করোনা ভাইরাস তাই জনসমাগমে জাওয়া যাবে না দুরুত্ত বজায় রাখতে হবে কিন্তু আল্লাহ যখন আপনাকে যেনা থেকে দুরু থাকতে বলেছেন তখন কেন থাকেন নি ?

আমদের জবাব কথায়? কি উত্তর দিবো?



আজকে যদি আমরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম তাহলে ৫ বার আমরা অজু করতাম , আপনি কি জানেন অজু করার সময় আমরা এমন এমন জায়গা ধৌত করি যা সাধারণত আমরা করিনা ।  ৫ বার অজু করার মাধ্যমে আমদের দেহে জীবাণু থাকতে পারেনা।  দাঁড়ি আমদের মুখের মধ্যে ক্ষতিকর ধুলা বালি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া মুখে ঢুকার আগেই নিজের কাছে টেনে নিয়ে নেয় আবার সেই দাঁড়ি ওজুর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায়।  নিকাব পরলে কোন জীবাণু বা ভাইরাস মুখে ঢুকতে পারে না।  আজকে হালাল রিজিক খেলে এই করোনা ভাইরাস জন্মই হতনা ।  যাই হউক এখন আপনাকে এগুলো করতে হবে আপনার ভাল লাগুক আর না লাগুক ।  কারণ আল্লাহ্‌ সর্ব শক্তিমান। 
আসুন আমরা সবাই তওবা করি, আল্লাহ্‌ এর কাছে ক্ষমা চাই , তিনি ছাড়া এই বিপদ কেউ পার করতে পারবে না।  আসুন নামাজ শুরুকরি , আল্লাহ্‌ কে শুক্রিয়া জানাই ।  হয়ত এই করোনা ভাইরাস আমাদের মঙ্গলের জন্যই দিয়েছেন, যাতে করে আমরা আল্লাহ্‌ এর পথে ফিরে আস্তে পারি।
আল্লাহ্‌ এর নবী হযরত সাঃ এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌ আমাদের কিছু দোয়া ও রোগ নিরাময়ের খাদ্য তালিকা দিয়ে গেছেন যা আমাদের রোগ ব্যাধি থেকে পরিত্রান পেতে সাহায্য করবে ।


দোয়া
১।  সকাল-সন্ধ্যা (ফযরের সালাতের পর ৩বার এবং মাগরিবের সালাতের পর ৩বার) বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়া দুররু মাসমিহি শাইয়ূন ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম
২।  আউজু বি কালিমাতি তাম্মাতি মিন শার্রি মা খলাক  (সহিহ মুসলিম)
৩।  আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম  (সুনানে আবু দাউদ)
৪। আল্লাহামদুলিল্লাহ হিল্লাজি আফানি মিম মাব তালাকা বিহি, ওয়া ফাদ-দালানি আলা কাছিরিম মিম মান খালাকা তাফদ্বিলা  
৫। সূরা ফালাত, সূরা নাস, সূরা ইখলাস পড়ে হাতে ফু দিয়ে শরীরের মাসেহ করা। সূরা ফাতিহা পড়া




খাবার
১/ আজয়া খেজুর
২/ মধু
৩/ কালো জিরা
৪/ জাইতুন
৫/ দুমুর
৬/ দুধ
৭/ মাশরুম
৮/ জলপাই



           পরিশেষে এটাই বলতে চাই যদি আল্লাহ্‌ আমাদের কপালে মৃত্যু লিখে রাখেন তাহলে কারো সাদ্ধ নেই আটকানোর ।  আবার যদি আমরা আল্লাহ্‌ এর হেফাজতে থাকি তাহলে কারো ক্ষতি করারও সাদ্ধ নেই।  তাই আমরা বেশি বেশি করে আল্লাহ্‌ এর কাছে ক্ষমা চাই ও তওবা করি আমাদের ভুল গুলির জন্য।  আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সবাইকে হেফাজত করেন, আমিন।
 

Advertisement


Sample Text

Sample Text

 
Blogger Templates